ম্যানিলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত

আরিফুর রহমানঃ যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৫ উদযাপন করেছে ম্যানিলাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক মনোরম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে দূতাবাস প্রাঙ্গণ বর্ণিলভাবে সাজানো হয়।
বুধবার সকালে বাংলাদেশ হাউজে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭ টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা ঘটে। অতঃপর পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। এরপর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং মাননীয় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় বলে দূতালয় প্রধান এম. এম. জুলকার নাঈম ধ্রুব’র স্বাক্ষতির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
দিবসটির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্যে চার্জ দ্য এফেয়ার্স মিজ সায়মা রাজ্জাকী শুরুতেই মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের, নির্যাতিত মা-বোনদের, বীর সেনানীদের এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সকল নেতাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। একই সাথে তিনি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সকল শহিদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন। দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন যে, ‘বর্তমান বাংলাদেশ উন্নয়নের এক নতুন দিগন্তে প্রবেশ করেছে। আমাদের অর্থনীতি ইতিবাচক ধারায় এগিয়ে চলেছে, নতুন নতুন বিনিয়োগ ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে’। এ প্রেক্ষাপটে, তিনি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের পরিশ্রম, মেধা এবং অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। অতঃপর একটি সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ এবং ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজের আহ্বান জানিয়ে চার্জ দ্য এফেয়ার্স তাঁর স্বাগত বক্তব্য শেষ করেন। এরপর ফিলিপিনে বসবাসরত বাংলাদেশী প্রবাসী নাগরিকদের অংশগ্রহণে একটি মনোরম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পরিশেষে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে উপস্থিত শিশু-কিশোরদের সমন্বয়ে একটি কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি হয়।