লেবাননে উত্তেজনা হ্রাসে ইরানের প্রেসিডেন্টকে চাপ ফ্রান্সের

তেহরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর ওপর ইসরাইল অব্যাহত হামলার প্রেক্ষিতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টকে লেবাননে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা কমাতে তার প্রভাব কাজে লাগানোর আহবান জানিয়েছেন।

লেবাননে হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জাতিসংঘের বার্ষিক সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ম্যাক্রোঁ ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। এলিসি প্রাসাদের এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহকে স্পষ্ট উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ম্যাক্রোঁ বলেছেন ‘উত্তেজনা কমাতে এবং অস্থিতিশীলতা নিরসনে তেহরানের প্রভাব কাজে লাগানো দেশটির দায়িত্ব।’

ইসরাইলের সঙ্গে ইরান সমর্থিত লেবাননের হুতি বিদ্রোহী এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় ম্যাক্রোঁ ইতোমধ্যে পেজেশকিয়ানের সাথে দু’বার টেলিফোনে কথা বলেছেন।গত ৭ আগস্ট পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য তেহরান সফরকালে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ ইসরাইলি অভিযানে মারা যাওয়ার অভিযোগের পর ম্যাক্রোঁ ইরানের প্রেসিডেন্টকে প্রতিশোধ এড়াতে এবং সামরিক শক্তি বৃদ্ধি রোধে কাজ করার আহ্বান জানান।

পেজেশকিয়ান সোমবার বলেছেন, পশ্চিমা শক্তিগুলো গাজায় যুদ্ধবিরতির অগ্রগতির কথা বলার পর ইরান প্রতিশোধ নেওয়া থেকে বিরত ছিল। তিনি উল্লেখ করেছেন, ইসরাইল সংঘাতের পথকে বেছে নিতে চায়। তেহরান রাশিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে বলে পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগের পর ম্যাক্রোঁ পেজেশকিয়ানকে চাপ দেন। এই অভিযোগের কারণে ইউরোপীয় শক্তিগুলো ইরানের বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

এলিসি প্রাসাদ বলেছে, ম্যাক্রোঁ ‘ইরানি প্রেসিডেন্টকে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের যুদ্ধে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের সমর্থন অব্যাহত রাখার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিলেন।’পেজেশকিয়ান সাংবাদিকদের সাথে বৈঠকে রাশিয়াকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, তার দেশ তাদের প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মস্কোর ‘আগ্রাসন’-এর বিরোধিতা করে।
পেজেশকিয়ান নিজেকে মধ্যপন্থী হিসেবে তুলে ধরেছেন। ম্যাক্রোঁ ইরানে বন্দী তিন ফরাসি নাগরিকের মুক্তির ও আহ্বান জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: