ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সুবিধাবাদীরা বিএনপির নতুন কমিটিতে যোগ দিতে তৎপর

বিশেষ সংবাদদাতাঃ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে বৈঠক শেষের রেশ কাটতে না কাটতেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সুবিধাবাদীরা তাদের অপকর্ম ঢাকতে বিএনপির দলে ভীড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

দেশের বিভিন্ন জেলার থানা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের রাজনৈতিক মাঠে ঘুরে দেখা যায় বিএনপির কমিটিতে যোগদানের জন্য ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সুবিধাবাদীরা বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী দাবী করে বিভিন্নভাবে ব্যানার ফেষ্টুন করে, অফিস বানিয়ে অথবা অর্থসহায়তা করে, বিভিন্ন সাংসদপ্রার্থীদের পাশে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে নিজেদের বিএনপির ত্যাগীকর্মী বলে নিজেদেরকে নির্লিপ্তভাবে জানান দিচ্ছে। এতে প্রকৃত ত্যাগী বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষুব্ধ এবং মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরী হচ্ছে বলে জানা যায়।

দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে এসব তথ্যের সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদারীপুরের শিবচরে আওয়ামী সরকারের আমলে থানার মেয়র থেকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এবং পদ পাওয়া নেতা যারা অপকর্ম করে পলাতক রয়েছে তাদের ঘনিষ্ঠজনেরা যারা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত, তারা সবাই বিএনপির নতুন কমিটি গঠনে পুরনো নেতাদের সাথে মিলে মিশে একাকার।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে থানার বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীরা বলেন, পুলিশের হাতে আটক শিবচরের কুখ্যাত হায়দার চেয়ারম্যান জেলে থাকলেও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী আওয়ামী লীগের সাজু মোড়ল, সাহা মাদবর ও তাদের পরিবারসহ ইউনিয়নে আওয়ামী পদ পাওয়া আওয়ামী মিটিং মিছিলে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত অনেকেই এবং হায়দারের মামলা খালাস করতে কাজ করে যাওয়া শামীম ঢালী, সেলিম মোল্লাসহ যারা আছে এসব লোকেরা বিভিন্নভাবে দালালী, চাঁদাবাজি, জায়গা-জমি সেটেলমেন্ট করে হায়দারের অপকর্মের সাম্রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে ও আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে নীরবে কাজ করে যাচ্ছে। গা বাচাতে এরাই এখন বিএনপির দলে ভীড়তে মরিয়া হয়ে উঠছে। শুধুমাত্র হায়দার নয়, থানার প্রতিটা ইউনিয়নে ফ্যাসিস্ট সরকারের পদপাওয়া ঘনিষ্ঠজনেরা সবাই এখন বিএনপির নতুন কমিটি গঠন এবং দলীয় প্রোগ্রামে আমাদের মত ত্যাগী নেতাদের আশে পাশে থেকে প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করছে যেটা আমাদের জন্য বিব্রতকর। তাদের দাপটে কোনঠাসা হওয়ার মতো উপক্রম হয়েছে। এ সুবিধাভোগীরা বিএনপির লোক সেজে ত্যাগী বিএনপির কর্মীদের মাঝে ঝামেলা সৃষ্টি করছে বলে কয়েকজন মন্তব্য করেন।

এদেরকে সুযোগ না দিয়ে এদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে মনে করেন ত্যাগী বিএনপি কর্মীরা।

আরও পড়ুন: