রুমিন ফারহানার বিরুদ্ধে সাইবার বুলিং থেকে বেরিয়ে আসতে হবে- হাসনাত আবদুল্লাহ

বিএনপির সহ–আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানাভাবে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক মতভেদ বা ব্যক্তিগত মতপার্থক্যের কারণে একজন নারী নেত্রীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করা, চরিত্রহনন করা কিংবা কুৎসা রটানো গণতন্ত্র ও সভ্য সমাজের জন্য কলঙ্কজনক।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “রুমিন ফারহানাকে নিয়ে সাইবার বুলিং করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য ও কুৎসা রটানো হচ্ছে। আমরা যদি নিজেদের মধ্যেই বিভেদ সৃষ্টি করি, তবে আওয়ামী লীগ সেই সুযোগ নেবে। আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, তবে সেটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিভেদ সৃষ্টি হলে কেবল আওয়ামী লীগই লাভবান হবে।”
তিনি রুমিন ফারহানাকে উদ্দেশ্য করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুৎসা ও বিদ্বেষ ছড়ানো থেকে সবার বিরত থাকার আহ্বান জানান।
ঐক্যের বার্তা
এনসিপি নেতা আরও বলেন, “কুৎসা, ভিন্নমত দমন কিংবা ব্যক্তিগত চরিত্রহনন—এসবই গণতন্ত্রের শত্রু। ৫ আগস্টের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একসঙ্গে আন্দোলনে নেমেছিল, সেই ঐক্য ধরে রাখা জরুরি। কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ হলে সেটি শাসক দলের পক্ষেই যায়।”
গুম প্রসঙ্গ
আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখে গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, “এই ঘটনার শিকার আমাদেরও হতে হয়েছে। ৫ আগস্টের পর আমরা হয়তো মুক্তি পেয়েছি, কিন্তু যাঁরা এখনও স্বজনদের খুঁজে পাচ্ছেন না, তাঁদের দুঃখ আমাদের হৃদয় বিদীর্ণ করে।”
তিনি অভিযোগ করেন, গুম কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে স্পষ্ট অবস্থান জানাতে হবে। তাঁর ভাষায়, “ড. ইউনূস শুধু একটি নির্বাচন দিয়ে দায়িত্ব শেষ করবেন না, তাঁকে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দিতে হবে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার করে সেগুলোকে জনমুখী করতে হবে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গ
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে, ডিসেম্বরে কিংবা আগামীকালও হতে পারে। সময় নয়, মূল বিষয় হচ্ছে সংস্কার প্রস্তাবগুলোকে আইনি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসা।”
👉 সারসংক্ষেপে, রুমিন ফারহানাকে নিয়ে চলমান সাইবার বুলিং প্রসঙ্গে হাসনাত আবদুল্লাহ সতর্কবার্তা দিয়েছেন এবং গণতন্ত্র ও ঐক্যের স্বার্থে সবাইকে এসব নোংরা চর্চা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।