বিশ্ব মানব পাচারবিরোধী দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিবের বার্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক

মানব পাচারকে “ভয়াবহ অপরাধ ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। বিশ্ব মানব পাচারবিরোধী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই অপরাধ দ্রুত ছড়িয়ে পড়া একটি সংগঠিত অপরাধের রূপ নিচ্ছে, যা দুর্বল মানুষদের শোষণ করে এবং তাদের দুর্দশাকে পুঁজি করে মুনাফা অর্জন করে।
মহাসচিব বলেন, “এটি প্রতারণা, জবরদস্তি ও শোষণের ওপর প্রতিষ্ঠিত একটি নিষ্ঠুর ও সুসংগঠিত চক্র, যা এখন প্রযুক্তি, বৈধ ব্যবসা ও অভিবাসন ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে আরও বেশি দক্ষ ও ভয়ানক হয়ে উঠেছে।”
তিনি জানান, মানব পাচার চক্রগুলি আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে কাজ করছে এবং তারা আইনগত দুর্বলতা, বৈধ ব্যবসা ও সরবরাহ চেইন, অভিবাসন স্রোত এবং প্রযুক্তিকে অপব্যবহার করছে। অনলাইন যৌন নির্যাতন ও সাইবার প্রতারণার মতো অপরাধ এরই একটি ভয়াবহ দিক।
প্রতিরোধে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান:
মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, “এই অপরাধকে টিকিয়ে রাখা ব্যবসায়িক মডেল ভেঙে দিতে হবে — দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে, অবৈধ মুনাফা বন্ধ করতে হবে এবং আইন প্রয়োগ ও বিচারব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে হবে।
আরও পড়ুন…মতিঝিলে জাতীয় গণ ফ্রন্টের পথসভা: ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগ্রামের দৃপ্ত আহ্বান
তিনি বেসরকারি সংস্থা, নাগরিক সমাজ এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানসহ বেসরকারি খাতের সঙ্গে মজবুত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার তাগিদ দেন, যাতে সচেতনতা বাড়ে এবং শোষণের শিকারদের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান:
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আমাদের অবশ্যই ভুক্তভোগীদের জন্য বিচার নিশ্চিত করতে হবে, বাস্তুচ্যুতদের সহায়তা করতে হবে এবং দারিদ্র্য, বৈষম্য, সংঘাত ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো মানব পাচারের মূল কারণগুলো সমাধানে কাজ করতে হবে।”
জাতিসংঘ মহাসচিব তার বার্তায় বলেন, “চলুন, আমরা একসাথে দাঁড়াই – শিকারদের পাশে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে এবং এমন একটি পৃথিবী গড়তে যার কোথাও কেউ কেনা-বেচা বা শোষণের শিকার না হয়।