৮তম সিআইপি ঘোষিত হলেন কমলনগরের আবদুল করিম

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : দেশের ৮ম বারের মত সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার আবদুল করিম। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকার ওসমানী স্মৃতি অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আশিফ নজরুল ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। আব্দুল করিম লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি সরকার কর্তৃক ৮ম বারের সিআইপি নির্বাচিত হয়ে গর্বিত করেছেন লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগরবাসীকে। তার অসামান্য কৃতিত্বে রামগতি-কমলনগর উপজেলা সমিতি, চট্টগ্রাম এর পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।

জানা যায়, রেমিটেন্স যোদ্ধা আবদুল করিম অক্লান্ত পরিশ্রম করে মধ্য প্রাচ্যের দেশ ওমানে গড়ে তুলেছেন গ্লোবাল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। সেখানে কাজ করেন সহস্রধিক মানুষ। যার কারণে প্রবাসীরা প্রতি বছর দেশে পাঠাচ্ছেন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। সিআইপি হওয়ার প্রথম গল্পটা ছিল ২০১৭ সালের। নিজের মেধা ও প্রজ্ঞায় প্রতিনিয়ত ব্যবসার উন্নতি সাধন করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৭ম বার সিআইপি খেতাব অর্জন করার গৌরব এদ্বতঞ্চলে একমাত্র তারই। এবার ২০২৪ সালে ৮ম বারের মতো সিআইপি খেতাব অর্জন করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।

দেশের সাতটি গোয়েন্দা সংস্থা তার এবং তার পারিবারিক পারিপার্শ্বিক ও রাজনৈতিক দিকগুলো পুঙ্খানু পুঙ্খানু ভাবে তদন্ত করে পজেটিভ রিপোর্ট প্রদান করে সরকারের উচ্চ পর্যায় তালিকা পাঠান এবং সারা পৃথিবীর দেড় কোটি প্রবাসীর রেমিটেন্স বিশ্লেষণের পর কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে এনআরবি সিআইপি নির্বাচিত করা হয়।

এ বিষয়ে সিআইপি আবদুল করিম জানান, আমি বাংলাদেশের অনেক মানুষকে বিদেশে পাঠিয়ে তাদের পরিবারে স্বচ্ছলতা এনে দিয়েছি। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের প্রয়োজনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জনকল্যাণে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আমার কার্যক্রম সব সময় অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়ুন: