‘অভ্যন্তরীণ পরাধীনতা’ মুক্ত বাংলাদেশ
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে ‘অভ্যন্তরীণ পরাধীনতা’ মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তরুণ যুবক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুব বাঙালি।
শনিবার (২ নভেম্বর ২০২৪) রাজধানীর পরিবাগে কাজী আবদুল লতিফ সাজু স্মৃতি পাঠাগার মিলনায়তনে যুব বাঙালির ১৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক কামরুজ্জামান অপুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন তানসেন।
আলোচনায় আরও অংশ নেন আমানউল্লাহ আমান, মশিউর রহমান দিপু, বাঁধন, রায়হান তানভীর, ইউসুফ সরকার, স্বাধীন, অভি খান, মোহাম্মদ আলী পারভেজ, মুনতাসির সিয়াম, ওয়ালিদ হাসান ভুবন, শরিফুল ইসলাম হৃদয়।
বক্তারা বলেন, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে ঐক্যের সূচনা তরুণ যুবক সমাজ সৃষ্টি করেছে অভ্যন্তরীণ পরাধীনতা মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তুলতে সেই ঐক্যকে সুসংহত করতে হবে। ব্রিটিশ পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করে স্বাধীন দেশ উপযোগী রাষ্ট্র কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলাই স্বাধীনতার মূল কথা।
তারা আরও বলেন, তরুণ যুব সমাজের হাজার বছরের আন্দোলন সংগ্রামের পথপরিক্রমা আজকের বাংলাদেশ। ব্রিটিশ শাসন বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম থেকে শুরু করে জুলাই আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে তরুণ যুব সমাজ। সুদীর্ঘ এই সংগ্রামের বর্তমান প্রেক্ষাপটে অভ্যন্তরীণ পরাধীনতা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার মধ্য দিয়েই আগামীর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথ প্রশস্ত হবে।
সভায় সিপাহী বিদ্রোহ, সাঁওতাল বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ, ফকির মজনু শাহ-এর নেতৃত্বে ফকির-সন্ন্যাস বিদ্রোহ, হাজী শরিয়তউল্লাহ ও দুদু মিয়ার ফরায়েজি আন্দোলন, ওহাবী আন্দোলন, তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন, দেশবন্ধু সি আর দাশ-এর স্বরাজ পার্টি, অনুশীলন- যুগান্তর, বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন, শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক এর কৃষক-প্রজা পার্টি, রাস বিহারী বসু ও নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজ, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ এর সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রাম, ৭২- ৮১’র ছাত্র-যুব সমাজের ফ্যাসিবাদ-বাকশাল ও সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ৯০’র অভ্যুত্থান, ২০২৪ এর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনসহ দেশজ, বিপ্লবাত্মক ও গণমুখী আন্দোলনের নিজস্ব ধারার রাজনীতিতে আত্মাহুতি দানকারী সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সব আন্দোলনে তরুণ যুব সমাজের ত্যাগই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের পাথেয় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন নেতারা।