জাতিসংঘ স্বীকৃত বাংলাদেশের একমাত্র বক্ষব্যাধী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইকবাল হাসান মাহমুদ

বাংলাদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক অনন্য নাম অধ্যাপক ড. ইকবাল হাসান মাহমুদ। জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত দেশের একমাত্র বক্ষব্যাধী বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিতি পেয়েছেন। দীর্ঘ চিকিৎসা অভিজ্ঞতা, গবেষণা এবং মানবিক সেবার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশে ফুসফুস ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ নিরাময়ে একটি আস্থার নাম হয়ে উঠেছেন।
চিকিৎসা জীবনের পথচলা
অধ্যাপক ড. ইকবাল হাসান মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও অন্যান্য নামী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছেন। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, যক্ষ্মা, ফুসফুসে সংক্রমণসহ জটিল বক্ষব্যাধির চিকিৎসায় তার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। তার হাতে অসংখ্য রোগী সুস্থতা ফিরে পেয়েছেন, যা তাকে মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার কেন্দ্রে নিয়ে গেছে।
ইকবাল চেস্ট সেন্টার
তার সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ইকবাল চেস্ট সেন্টার ঢাকার প্রাণকেন্দ্র মগবাজারে অবস্থিত। এই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানটি বক্ষব্যাধি রোগীদের জন্য একটি আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, অভিজ্ঞ ডাক্তার টিম এবং নিবেদিত সেবার মাধ্যমে প্রতিদিন শত শত রোগী এখান থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
গবেষণা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
ড. ইকবাল শুধু একজন চিকিৎসক নন, একজন গবেষকও। তার গবেষণা কর্ম আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়েছে এবং বহু বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। জাতিসংঘ তার কাজকে স্বীকৃতি দিয়ে তাকে বাংলাদেশের একমাত্র বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে, যা দেশের জন্য গর্বের বিষয়।
সামাজিক দায়বদ্ধতা
অধ্যাপক ড. ইকবাল হাসান মাহমুদ কেবল চিকিৎসা নয়, সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেও কাজ করে যাচ্ছেন। দরিদ্র ও অসহায় রোগীদের জন্য তিনি নিয়মিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন সেমিনার ও কর্মশালায় অংশ নেন।
জনমত
চিকিৎসক মহল এবং সাধারণ মানুষ মনে করেন, অধ্যাপক ড. ইকবাল হাসান মাহমুদের অবদান শুধু চিকিৎসা ক্ষেত্রে নয়, দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্য খাতে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত। তার নেতৃত্বে ইকবাল চেস্ট সেন্টার ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।