আবারও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ভূলুয়া নদীতে প্রতিবন্ধকতা অপসারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক- সম্প্রতি অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্টি হওয়া জলাবদ্ধতা ও পানিনিষ্কাশনের সমস্যা নিরসনে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ভূলুয়া নদীতে পুনরায় প্রতিবন্ধকতা অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বিভাগ, লক্ষ্মীপুর।
(৪ আগস্ট) সোমবার বিকেল থেকে রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা ইউনিয়নে ভূলুয়া নদীর ওপর আড়াআড়ি নির্মিত মাটির বাঁধসহ পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করা সবধরনের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ শুরু হয়।
পানি উন্নয়ন বিভাগের রামগতির উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুর রহিম জানান , গত কিছুদিনের টানা বৃষ্টির ফলে তোরাবগঞ্জ, চর কাদিরা এবং রামগতি উপজেলার চর নেয়ামত ও চর পোড়াগাছা ইউনিয়নে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এতে কৃষি জমি প্লাবিত হয়, বসতঘর ও রাস্তাঘাট পানির নিচে চলে যায় এবং জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে আসে।
এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় জনসাধারণের পক্ষ থেকে নদী থেকে প্রতিবন্ধকতা অপসারণের জোর দাবি উঠে। সেই দাবির প্রেক্ষিতেই আজ পানি উন্নয়ন বিভাগ এই উদ্যোগ নেয়।
স্থানীয়রা জানান, নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরে এলে আশপাশের জলাবদ্ধতা দ্রুত কমবে এবং কৃষিকাজ ও স্বাভাবিক চলাচলে সুবিধা হবে।
পানি উন্নয়ন বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জনগণের স্বার্থে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে এবং নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
১৯৯৭ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী আ স ম আবদুর রব ভুলুয়ানদী খনন করার পর আর খনন করা হয়নি। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে লক্ষ্মীপুর সদর, কমলনগর ও রামগতি উপজেলার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদীতে পড়েছে ভুলুয়া নদী। ৭১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নদীর গড় প্রস্থ ছিল ৫০০ মিটার। দখল, অবৈধ বাঁধ নির্মাণ আর পলি জমে নদীর এখন গড় প্রস্থ দাঁড়িয়েছে ৮৫ মিটারে। নদীটি খনন না হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে হেঁটেই পার হওয়া যায়। আর বর্ষা মৌসুমে এ অঞ্চলের লাখো মানুষ থাকে পানিবন্দি।