আওয়ামী লীগ ঝাণ্ডাধারী এখন ছাত্রদল নেতা
নিজস্ব সংবাদদাতা

রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ঝাণ্ডাধারী এক ছাত্রলীগনেতা রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে এখন পিতার বদৌলতে ছাত্রদল নেতা হওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। একইসাথে এলাকায় নীরব চাঁদাবাজিসহ দলীয় সিদ্ধান্ত না মানারও অভিযোগ উঠেছে ঢাকা মহানগর পশ্চিম পল্লবী থানা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা সাব্বির শেহজাদ রাব্বি রাজধানীর মিরপুর ১১ বাউনিয়াবাঁধ এলাকার ঢাকা সিটি করপোরেশন ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী বাদশা মিয়ার ছেলে। এবং ঢাকা মহানগর পশ্চিম পল্লবী থানা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
রাজধানীর মিরপুর বাউনিয়াবাধ এলাকাবাসী ও প্রাপ্ত বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর দেশের অনেক মুজিববাদী ঝাণ্ডাধারি আওয়ামী অথবা তার সহযোগী ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা রাতারাতি ভোল পাল্টে যেমন বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মী বনে গেছেন তেমনি একজন রাব্বি। একসময় ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহযোগী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে ছিল সাব্বির শেহজাদ রাব্বির সরব উপস্থিতি। নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতেন আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ পদধারী ভাই-বন্ধুদের সাথে। তার বাবা বাদশা মিয়া যদিও বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও তিনিও স্থানীয় বাসিন্দার ব্যনারে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতেন ৫নং ওয়ার্ড কমিশনার নান্নু ও স্থানীয় এমপি ইলিয়াস মোল্লার সাথে। কমিশনার নান্নু হলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কচির ভাই। আওয়ামী লীগের শেষ সময়ে হাজী বাদশা মিয়া ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির পদ পাওয়ার পরে সাব্বির বিএনপি রাজনীতিতে যোগদান করেন। স্থানীয় অনেকের অভিযোগ সেই সময় টাকার বিনিময়ে অল্প সময়ের ভিতরেই হয়ে ওঠেন পল্লবী থানা ছাত্রদলের নেতা। তবে সেসময় রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামহীন শুয়েবসে পল্লবী থানা ছাত্রদলের নেতা হলেও স্থানীয় রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগের সাথে সব সময় যোগাযোগ রক্ষা করে চলতো সাব্বির।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর রাতারাতি এলাকার নব্য বিএনপির কথিত ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন সময় শোডাউনের পর এখন তিনি বিএনপি রাজনীতির ত্যাগী নেতা।
এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে সাব্বিরের পুরাতন মিছিল মিটিংয়ের ছবি দেখলেই বুঝবেন তিনি আগে কি ছিল আর এখন কি। আর এখন তার কার্যকলাপ ও তার আশপাশের লোকজনকে দেখলেই জানবেন আওয়ামী লীগের সময় যারা তার শুভাকাঙ্ক্ষী ছিল সে তাদেরকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে। অনেকের অভিযোগ এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী খ্যাত ও ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা অনিককে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা ও নিরাপত্তা দিয়ে চলেছে ছাত্রদল নেতা সাব্বির শেহজাদ রাব্বি। এছাড়াও রাব্বির বিরুদ্ধে স্থানীয় বাস স্ট্যান্ড, ট্রাক স্ট্যান্ডের নীরব চাঁদা তোলারও অভিযোগ করেন কয়েকজন।
এছাড়া যেন দলীয় নির্দেশনার মানতে বাধ্য না সাব্বির। দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক পুরো রমজান মাসের ইফতার বিতরণ কার্যক্রমে স্থানীয় স্থানীয় কারো নাম এবং ছবি ব্যবহার করা যাবে না, সে নির্দেশনা থাকলেও রাব্বি তার নাম তার ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে পুরো প্যাণ্ডেল বানিয়ে প্রতিদিন ইফতার বিতরণ করছে।
এবিষয়ে জানতে রাব্বির ব্যক্তিগত মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।