জনভাষ্য আয়োজিত ‘রাষ্ট্র কার?

সম্প্রতি মোহাম্মদপুর ক্লাব মাঠে (লালমাটিয়া ত্রিকোণ পার্ক, টাউন হল সংলগ্ন) সর্বজনের নীতিভাবনা বিষয়ক সংগঠন ‘জনভাষ্যের’ আয়োজনে    গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সংস্কার ভাবনা ও মোহাম্মদপুর সংক্রান্ত স্থানীয় ইস্যু নিয়ে ‘রাষ্ট্র কার’ শীর্ষক  গণসংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে গণঅভ্যুত্থাণে শহীদ পরিবারসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেনিপেশার মানুষের সাথে সংলাপে অংশ নিয়েছে। অতিথি বক্তা হিসেবে  উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ও নাট্য নির্দেশক আজাদ আবুল কালাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য মোশাহিদা সুলতানা ঋতু,  লেখক ও গবেষক মীর হুযাইফা আল মামদূহ, কবি ও অ্যাক্টভিস্ট সৈকত আমীন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক, সাবেক সমন্বয়ক নাজিফা জান্নাত ও ‘লড়াকু ২৪’ এর সংগঠক কানিজ ফাতেমা মিথিলা।

এর পাশাপাশি মোহাম্মদপুরবাসীর পক্ষ থেকে কথা বলেছেন শ্রমিক নেতা মো: নুরুজ্জামান, মোহাম্মদপুরের জুলাই শহীদ বাদশাহ মিয়ার বাবা মো: ফিরোজ, মোহাম্মদপুর এলায়েন্স কমিটির পক্ষ থেকে পারভেজ সুমন, লেখক লাবণী মন্ডল, গবেষক রাতুল আল আহমেদ, সাংবাদিক তাজওয়ার মাহমিদসহ অনেকে।

সভায় বক্তারা “রাষ্ট্র কার?” এই প্রশ্নের উত্তরে নানান মতামত প্রকাশ করেছে৷ নাট্যনির্দেশক আজাদ আবুল কালাম বলেছেন, ‘ রাষ্ট্র আমার, এর কলকব্জা আমার এই কথাটির মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী চেতনা গড়ে উঠে’।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাজিফা জান্নাত জানান, গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে ভিআইপি এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রবল বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়েছে৷ তার কাছে রাষ্ট্র হচ্ছে সমস্ত প্রাণসত্তার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাইদা সুলতানা বলেন, “রাষ্ট্র সবার বা রাষ্ট্র আমাদের এই চেতনাটি যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধারণ করে, তবে তার কার্যক্রমগুলোও সেই অনুযায়ী হবে। সেকুলার রাজনীতি বা ইসলামী রাজনীতি এই দ্বন্দ্বের চাইতে বড় কথা হচ্ছে একজন নাগরিক সে হিন্দু হোক,বৌদ্ধ হোক, খ্রিস্টান হোক তাঁর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।”

এই গণসংলাপে মোহাম্মদপুরবাসীরা স্থানীয় নানাবিধ সমস্যা ও সংস্কারের আলাপ তুলে ধরে। মোহাম্মদপুরবাসী দীর্ঘদিন ধরেই বস্তিবাসী মানুষের আবাসন সমস্যার সমাধান, ট্রাফিকিং সিস্টেম উন্নতি, দূষিত খাল সংস্কার, ছিনতাই-অপরাধজনিত সমস্যা সমাধানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পদক্ষেপ, দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের দখলকৃত মাঠ খোলার উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে। তারা আশা করছে সরকার আরো দায়িত্ববান হবে তাদের এলাকাভিত্তিক সংকটগুলো নিরসনের ক্ষেত্রে।

আরও পড়ুন: