কুষ্টিয়া জেলা জুড়ে বেড়ে চলেছে সন্ত্রাস,জনমনে আতংক

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ আরিফুল ইসলাম

৫ আগষ্ট বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর থেকে সারা দেশেজুড়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। এর ব্যতিক্রম হয়নি লালনের জেলা কুষ্টিয়াতেও।
এক আতংকের নগরীতে পরিণত হয়েছে জেলাটি, বেপরোয়া ও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসীরা।

জেলা শহর কুষ্টিয়াসহ প্রায় প্রতিটি উপজেলাগুলোতেও বেড়ে চলেছে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। কোন ভাবেই যেনো লাগাম টানা যাচ্ছে না সন্ত্রাসীদের। নিরাপত্তার হুমকিতে ভুগছে সাধারণ জনগন। বিভিন্ন উপজেলাতে চলছে দিন দুপুরে চুরি, খুন,ছিনতাই,মাদক কারবার,ডাকাতিসহ ঘটছে নানাঘটনা।

কয়েকদিন আগে কুমারখালির পদ্মা নদীতে ২ পুলিশ সদস্য খুন,দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হত্যা, আপন দুইভাই হত্যাসহ এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অস্ত্রের মুখে ছিনতাই,ভেড়ামারা এক মিষ্টি ব্যবসায়ীকে বেধরক পেটানো,থানা চত্তর থেকে পুলিশ সদস্যের তিনটি মটরসাইকেল চুরি সহ নানা রকম সন্ত্রাসী কার্যকলাপ।

এর রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো ছিনতাই এর ঘটনা ঘটলো জেলাটিতে।রবিবার রাত ৯:০০ টার সময় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সড়কের ঘোড়ামারা -ভেড়ামারার নির্জন ফাঁকা মাঠ সংলগ্ন সড়কে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা একটি মোটর সাইকেল আরোহীর গতিপথ রোধ করে মোটরসাইকেল ও টাকা ছিনতাই করে।ভুক্তভোগী মোটরসাইকেল চালকের নাম হাফিজুর রহমান।

তিনি একমি ল্যাবরেটরিজ লিঃ নামে একটি ঔষধ কোম্পানিতে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিঠর করে গুরুতর আহত ও জখম করে সাথে থাকা ব্যাগ থেকে ঔষধ বিক্রয়ের অর্ধ লক্ষাধিক টাকা ও মোটর সাইকেলটি ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে আহত হাফিজুরকে ঘটনাস্থল থেকে স্হানীয়রা উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান অপরাধীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে সম্প্রতি এই ধরনের ঘটনা ঘটায় এলাকার সাধারণ মানুষ আতংকিত, তাদের নিতাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন, এবং দেশের বর্তমান আইন ও প্রশাসন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন: